কলকাতা: কথায় বলে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। আর বাস্তবে, চোরও পালায়, ভুঁড়িও বাড়ে! এবার তাই আসরে নামল হাইকোর্ট। তারা নিজেই ঠিক করে দিতে চলেছে পুলিশের শারীরিক সক্ষমতার গাইডলাইন। সম্প্রতি পুলিশের অতিরিক্ত ভুঁড়ি ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে রাজ্য সরকার। হলফনামা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্র ও বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, আদালত যে সব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিল, সেগুলি মেলেনি। যিনি হলফনামা দিয়েছেন, তিনি নিজেকে নবান্নের ডেপুটি সেক্রেটারি বলেছেন। কিন্তু কোন পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু লেখেননি। আমরা পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে গাইড লাইন তৈরি করতে চাই। সেজন্য এই পদমর্যাদার আধিকারিকের থেকে হলফনামা নিয়ে কোনও লাভ নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, পুলিশের নিয়মিত শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয় কি না, অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নির্ধারিত সময় অন্তর হয় কি না, তাঁদের অস্ত্র চালনার সক্ষমতা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কোনও পদ্ধতি আছে কি না, এবিষয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এছাড়া ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছেও পৃথক হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পুলিশের ভুঁড়ি: সরকারের জবাবে অসন্তুষ্ট আদালতই তৈরি করবে গাইডলাইন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 24 Feb 2017 08:30 PM (IST)