কলকাতা: ফের শহরে খুন বৃদ্ধ। জোড়াসাঁকোর বাড়িতে মিলল বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর গলাকাটা দেহ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার রক্তমাখা কাপড়। মেলেনি লুঠের চিহ্ন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সৎ ভাইদের সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল বৃদ্ধের। সে জন্যই কি খুন? নাকি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা? সূত্রের খোঁজে পুলিশ।
শনিবার রাত দেড়টাতেও তাঁকে বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন এক প্রতিবেশী। কিন্তু, সকালে সেই ঘরেই মিলল বৃদ্ধের গলাকাটা, রক্তাক্ত দেহ!
জোড়াসাঁকো থানা এলাকার বলাই দত্ত লেনে ছেলে মহম্মদ আলির সঙ্গে থাকতেন বছর সত্তরের, পাইন কাঠের ব্যবসায়ী খুরশিদ আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ছেলে বাড়িতে না থাকায় একাই ছিলেন বৃদ্ধ। এদিন সকালে খুরশিদ আলমের এক কর্মচারী এসে দেখেন, বাইরের থেকে ঘরের দরজা ভেজানো। দরজা ঠেলতেই দেখা যায়, ঘরের মধ্যে বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের গলাকাটা দেহ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তমাখা কাপড়, ঘরে মিলেছে রক্তের দাগ। তবে এখনও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র মেলেনি। কিন্তু, কেন খুন হতে হল খুরশিদ আলমকে? কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল? তদন্তকারীদের অনুমান, খুনি বৃদ্ধের পূর্বপরিচিত। কারণ, অচেনা কেউ ঘরে ঢুকে হামলা চালালে, বৃদ্ধ চিত্কার করতেন বা ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যেত। কিন্তু, জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়াতেও কেউ বৃদ্ধের চিত্কার শোনেননি। ঘরে ধস্তাধস্তিরও কোনও চিহ্ন মেলেনি। তবে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা কাপড় দেখে পুলিশের অনুমান, আততায়ী খুনের পর সেই কাপড়ে অস্ত্র এবং হাত মুছেছিল।
কিন্তু, কে বা কারা আততায়ী? স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁর সত্ভাইদের সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল। তাহলে কি খুনের নেপথ্যে সম্মত্তিগত বিবাদ, নাকি পুরনো শত্রুতা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, লুঠের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
খুরশিদ আলম আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। জোড়াসাঁকোয় ছেলে মহম্মদ আলি সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাকি ৩ ছেলে থাকতেন নারকেলডাঙা ও শিবপুরে। আর জোড়াসাঁকোয় খুরশিদের বাড়ির কাছেই থাকতেন তাঁর সৎ ভাইয়েরা। কাউকেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছে পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে দেখে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ ও হোমিসাইড শাখার অফিসাররা।
জোড়াসাঁকোয় বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের গলাকাটা দেহ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
05 Jun 2016 01:44 PM (IST)
কলকাতা (calcutta) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -