কলকাতা:  ভবানীপুরে একাকী বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু।
একটি এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত সুনন্দা গঙ্গোপাধ্যায় এই বাড়িতেই পথশিশুদের পড়াতেন। রবিবারের পর সোমবার সকালেও এক কিশোর এসে দেখে বাড়ির সদর দরজা হাট করে খোলা। ভিতরে ঢুকে সে দেখে, বাথরুমের নালায় পড়ে রয়েছে সুনন্দার দেহ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রবিবার রাতের আগেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃদ্ধার দেহ পড়ে ছিল বাথরুমে। মুখ ছিল নালার মধ্যে। দেহের বাকি অংশ বাইরের দিকে। তদন্তকারীদের বক্তব্য,
দেহ যেভাবে পড়েছিল এবং জিভও বেরিয়েছিল, তা দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছ’কাঠার ওপর এই দোতলা বাড়িটি কিনেছে হিমাংশু শাহ নামে এক প্রোমোটার। বাড়ির তিন ভাড়াটের অন্যতম ছিলেন সুনন্দা। অভিযোগ, হিমাংশু দীর্ঘদিন ঘরেই ভাড়াটে পরিবারগুলিকে বাড়ি ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
২০১৪ সালে সুনন্দা গঙ্গোপাধ্যায়কে একবার অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।অভিযোগ, সেই ঘটনাতেও হাত ছিল এই প্রোমোটারেরই। প্রোমোটার অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগের অভিযোগ মানতে নারাজ।
মৃতের স্বামী আলাদা থাকেন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তিনিই প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্ত্রীকে অপহরণ করান।
যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃতার স্বামী। দেহটি আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট মিললে গোটা বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।