কলকাতা: ডেঙ্গিতে অব্যাহত মৃত্যু। মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল দক্ষিণ দমদমের গৃহবধূর। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে মিলল ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার লার্ভা ও পিউপা। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালেও যত্রতত্র জমা জল। সব জায়গাতেই জল জমে। আজব সাফাই জেলাশাসকের।


মারণ ডেঙ্গির ছোবলে ফের মৃত্যু। এবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ নগরে। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সুভাষ নগরের বছর বত্রিশের গৃহবধূ চৈতালি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার রাতে ভর্তি করা হয় নাগেরবাজারের একটি হাসপাতালে। শনিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি বলা হয়েছে। গৃহবধূর মাও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি।

এরই মধ্যে রবিবার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে একাধিক জায়গায় মিলেছে ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার পিউপা ও লার্ভা। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্রভারতীর এক ছাত্রীর।

তারপর ক্যাম্পাসে ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার পিউপা ও লার্ভা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জমা জল সাফ করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য।

সবমিলিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই হুগলির শ্রীরামপুরে ১৬ জন রোগীর রক্তে মিলেছে ডেঙ্গির সবথেকে মারাত্মক প্রজাতি ডেঙ্গি টু-এর ভাইরাস। পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় এদিন শ্রীরামপুর পুরসভায় জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে কেন্দ্রের মেডিক্যাল টিমের সামনে, পুরসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ডেঙ্গির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল।

শ্রীরামপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতার দাবি যে অমূলক নয়, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের এই ছবিতেই তা স্পষ্ট।

কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী জমা জল সাফ ও পরিচ্ছনতা বজার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, তারপরও কেন শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের এই ছবি? আজব সাফাই শোনা গেল হুগলির জেলাশাসকের গলায়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের আশ্বাস, সোমবার থেকে শুরু হবে সাফাই অভিযান। কিন্তু, এত দেরিতে কেন?