কলকাতা: নতুন সরকারের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে ভোট-পরবর্তী হামলা বন্ধে কোনও কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন দিলেন না, সেই নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করল বিরোধীরা।
এদিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রশ্ন, ভোটের পর রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের কারফিউ। বসিরহাটে সন্ত্রাসের আগুন জ্বলছে। তাও শান্তির বার্তা দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে, বিরোধীরা আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দেবেন ভেবেছিলাম। প্রশাসনিক বৈঠকে কোনও নির্দেশই দেননি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও এ দিন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একসুরে সরব হন সুজন চক্রবর্তী-আব্দুল মান্নানরা।
মঙ্গলবার রাত থেকে ফের বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বামেদের দাবি, সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে তৃণমূলের সরকারের উচিত, পেট্রোপণ্যে কর ছাড় দেওয়া। সুজন চক্রবর্তী বলেন, পেট্রোপণ্যে কর ছাড় দিতে হবে রাজ্যকে। পরিষেবা কর বৃদ্ধিতে জিনিসের দাম বাড়ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ মমতার।
তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন বিজেপিকেও নিশানা করতে ছাড়েনি বাম-কংগ্রেস। আব্দুল মান্নান বলেন, একদিকে মমতার প্রশংসায় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে মমতার বিরোধিতায় রাজ্য বিজেপি। এটা বিজেপির দু’মুখো নীতি। তৃণমূল-বিজেপি মানিকজোড় বলে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী।
৯ জুন একসঙ্গে বসিরহাটের সন্ত্রাসবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দল।