কলকাতা: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির পদ না ছেড়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছেন মানস ভুঁইয়া। একদিনে খুনের মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া এবং পিএসি পদপ্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে, ঘুরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার ফের এর জবাব দিলেন সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক! এবার তিনি হাতিয়ার করলেন, আগাম জামিনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীর সওয়ালকে! মানসকে যখন প্রশ্ন করা হয় কাল তো সরকারি আইনজীবী আপনার জামিনের বিরোধিতা করলেন? জবাবে সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়কের কটাক্ষ, বলা হয়, তৃণমূল ও মমতার সঙ্গে আমার গোপন আঁতাত। এতেই সব স্পষ্ট হল।
সবংয়ের তৃণমূল কর্মী খুনের মামলায় মানস ভুঁইয়াকে ফাঁসানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। যদিও তার পরেও অধীর-মান্নানদের নিশানা করতে ছাড়েননি মানস! বলেন, অনেক দেরীতে। এতদিন বিধানসভায় তো কিছুই করতে দেখিনি! হ্যাঁ, একটা ওয়াক আউট করেছে। তবে আমার নাম পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণার পর!
তাঁর দল বিধানসভা ভোটে যাদের সঙ্গে জোট করেছিল, জোটের বাধ্যবাধ্যকতা থেকে যাদের পিএসি চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এদিন সেই বামেদেরও আক্রমণ করেন জোটের ভোটে জিতে আসা সবংয়ের বিধায়ক। বলেছেন, বামেরা বিপজ্জনক, যতদূরে থাকা যায়..বামেরা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে।
যদিও, একদা এই মানসকেই দেখা গিয়েছিল সূর্যকান্ত মিশ্রকে জড়িয়ে ধরে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করতে। তখন বলেছিলেন, এই লোকটার হাত ধরে বাংলার নতুন সূর্য উঠবে। তবে, এরপর অবশ্য কেলেঘাই-কপালেশ্বরী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।
মানসও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন! শুধু বাম কেন, যে দলের পতাকা আজীবন গায়ে জড়িয়ে রাখার স্বপ্ন দেখতেন, সেই দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও এখন তার সম্পর্ক তিক্ত! যে তিক্ততা আরও জোরালো করে মঙ্গলবার জোট বিরোধী বলে পরিচিত কংগ্রেস নেতা ডিপি রায়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে মানস ভুঁইয়াকে।