কলকাতা: দুর্ঘটনায় মৃত্যু। তারপর প্রতিবাদের নামে আবাসনে ঢুকে পরপর ৭৮টি গাড়ি ভাঙচুর।
হাজরা রোডের দুর্ঘটনার রেশ আছড়ে পড়ল পণ্ডিতিয়া রোডে!
কিন্তু কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, স্কুটার চালাচ্ছিলেন ল্যান্সডাউনের বাসিন্দা রামদেব যাদব। পিছনে বসেছিলেন পণ্ডিতিয়া রোডের মিথিলেশ যাদব এবং হাজরা রোডের বাসিন্দা অভিজিত পাণ্ডে। আরোহীদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না!
রাত তিনটে নাগাদ, হাজরা রোড ধরে স্কুটার এবং মার্সিডিজটি শরত্‍ বোস রোডের দিকে আসছিল। আচমকাই স্কুটারটিকে ধাক্কা মারে মার্সিডিজটি!
পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার সময় রাস্তা ফাঁকা ছিল। সেক্ষেত্রে, স্কুটার এবং মার্সিডিজটির মধ্যে রেষারেষি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা! স্কুটার ও মার্সিডিজের আরোহীরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সঠিক তদন্ত দাবি করেছে মৃত আশুতোষ কলেজের অর্থনীতির ছাত্র অভিজিত পাণ্ডের পরিবারও। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে হাজরা রোড অবরোধ করে মৃত যুবকের পরিবার। মৃত অভিজিতের দুই বন্ধু আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পণ্ডিতিয়া রোডের এই আবাসনের বাসিন্দারা। ঘটনার জেরে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না আবাসনের বাসিন্দাদের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আবাসনে তাণ্ডব। দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পৃথক দুটি মামলা রুজু করেছে টালিগঞ্জ এবং লেক থানা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাজরা রোডের দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।