কলকাতা: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে কঙ্কালকাণ্ডের পার্থ দে’র শেষকৃত্য। আজ সকাল পার্থ দে’র দেহ এসএসকেএমের মর্গ থেকে নিয়ে যান কাকা অরুণ দে ও ফাদার রডনি। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন আত্মীয়। প্রথমে পার্থ দে’র দেহ নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুর চার্চে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসেছিলেন পার্থর বন্ধুরাও।
দুপুর ২ নাগাদ এসএসকেএমে পৌঁছন পার্থ’র কাকা অরুণ দে। সঙ্গে ছিলেন ফাদার রডনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ভাইপোর দেহ নিয়ে সোজা একবালপুরের চার্চের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ একবালপুর পৌঁছয় পার্থ’র দেহবাহী গাড়ি। চার্চের বাইরে তখন পার্থ’র আত্মীয়-বন্ধু-উৎসুকদের ভিড়।
একে একে ফুলের তোড়া দিয়ে পার্থকে চিরবিদায় জানান সবাই। কিছুক্ষণ পর কেওড়াতলা মহাশ্মশানের দিকে রওনা দেয় পার্থর শববাহী গাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সম্পন্ন হয় পার্থ দে’র শেষকৃত্য।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি, ওয়াটগঞ্জের ফ্ল্যাটের শৌচালয়ে পার্থ দে’র অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। রুজু হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। বন্ধুদের দাবি, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন পার্থ। নতুন করে সংসার তৈরির স্বপ্নও দেখছিলেন। তাহলে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি? প্রশ্নটা থেকেই গেল।
এদিকে, পার্থ দে’র বিদায়ের দিন, রবিনসন স্ট্রিটের সেই লালবাড়ি ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হল। অরুণ দের আইনজীবীর দাবি, রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ি এখনও বিক্রি হয়নি। সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। পার্থ দে’ কীভাবে নতুন ফ্ল্যাট কিনল, তা জানা নেই।
পার্থ দে চলে গেলেন। পিছনে রেখে গেলেন একরাশ রহস্য। রবিনসন স্ট্রিট থেকে ওয়াটগঞ্জ....রহস্যের ওপর থেকে পর্দা উঠবে কি?