কলকাতা: বুধবার পুলিশের সামনেই সিএমআরআইয়ে তাণ্ডব চলেছিল বলে অভিযোগ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রাতভর তল্লাশি চালিয়ে খিদিরপুর ও একবালপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়, শেখ সোনি, জিয়াউদ্দিন শেখ ও রাকেশ ধানুককে। পুলিশ সূত্রে দাবি, হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই তিনজনকে সনাক্ত করা হয়। যদিও, আদালতে অভিযুক্তদের নির্দোষ বলে দাবি করে, তাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, বুধবার হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তাদের সামনে কী ভাবে ভাঙচুর হল? গোটা ঘটনায় প্রত্যক্ষ কিম্বা পরোক্ষভাবে পুলিশেরও মদত ছিল।
যদিও, পাল্টা সওয়ালে সরকারি আইনজীবী বলেন, তাণ্ডব এবং হাসপাতাল কর্মীদের মারধরের ঘটনায় ধৃতরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে ও হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য, ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীও এদিন দাবি করেন, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে সাইকা পারভিনের। চিকিৎসা না করে টাকা চাওয়া হয়েছিল। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি সিএমআরআই কর্তৃপক্ষ। উল্টে, কিশোরী মৃত্যুর দায় এড়িয়ে, চড়া সুরে নিজেদের আচরণ ও ব্যবহারকে যথার্থ বলেই দাবি করছে তারা। সিএমআরআই আধিকারিক
শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, মৃত্যু মানেই চিকিৎসায় গাফিলতি নয়। ওকে অনেক জায়গা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, আমরা ফেরাইনি। কিশোরীর বাঁচার ক্ষমতা ১০%-এর নিচে, এটা পরিবারকে বলেও দেওয়া হয়েছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাণ্ডবের সময় ৪ ঘণ্টা রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল, রাতে ফের তা চালু করা হয়েছে। সিএমআরআইয়ে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায়, ধৃত তিনজনকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আলিপুর আদালত।