কলকাতা:  এখনই গ্রেফতার করা যাবে না ভারতী ঘোষের স্বামীকে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্যের নির্দেশ প্রাক্তন আইপিএসের স্বামীকে।


এই নির্দেশের পর আপাতত স্বস্তিতে ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজু। ১৫ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।

এদিনের শুনানিতে ভারতীর স্বামীর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী একজন প্রাক্তন আইপিএস। ইতিমধ্যেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। স্ত্রীর আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে স্বামীর কোনও যোগ নেই।এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে সরকারপক্ষ। অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন,

ভারতী ঘোষের স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে, ২২টি সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত চুক্তিপত্র উদ্ধার হয়েছে। প্রচুর সোনার পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এরা নোট বাতিলের সময় পুরনো নোটের বিনিময়ে সোনার কেনার চক্র চালাত। প্রচুর মানুষের কাছ থেকে জোর করে এভাবে সোনা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যে  ফ্ল্যাটগুলিতে সিআইডি অভিযান চালিয়েছে, সেগুলি ভারতী ঘোষের স্বামীর নামে। তাই এম এ ভি রাজু কিছু জানেন না, এমনটা নয়।

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন,

অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পদক্ষেপ নিক পুলিশ। তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির চুক্তিপত্র ও সোনার মধ্যে যোগ রয়েছে কিনা, তাও খুঁজে দেখুক তারা।

ভারতীর স্বামীকেও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।নেতাজি নগর থানার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সপ্তাহে একদিন দেখা করতে হবে। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট।

মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।