সঞ্চয়ন মিত্র, আশাবুল হোসেন, সোমনাথ মিত্র, কলকাতা : শীতের আবহেও যেন রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগার অবস্থা। সৌজন্যে আলু, পেঁয়াজের দাম। সামান্য আলুসেদ্ধ-ভাত, সঙ্গে অল্প পিঁয়াজ খেতে গিয়েও এখন বাধ্য হয়ে দুবার ভাবতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।


এমনিতেই করোনা আবহ বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন। কেউ হারিয়েছেন চাকরি। কারও কোপ পড়েছে রোজগারে। এমন অবস্থায় আবার আলু সেদ্ধ ভাতও যেন কষ্টকল্পনা! সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে পিঁয়াজের অগ্নিমূল্যও।

ইতিমধ্যেই বঙ্গে এসে পড়েছে শীত। কিন্তু শীতকালীন সব্জি চেখে দেখা তো দুর অস্ত্, আলু-পেঁয়াজ কিনতেই হাঁপিয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ! জ্যোতি হোক বা চন্দ্রমুখী, প্রতি সপ্তাহে নিজের গড়া রেকর্ড নিজেই ভাঙছে ভাতের পাতের এই অপরিহার্য সদস্য।

মঙ্গলবার কলকাতার একাধিক বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ৪৫ টাকা কেজি। আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম ঘোরাফেরা করছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

শুধু আলু নয়, পেঁয়াজের দামও চোখে জল আনার পক্ষে যথেষ্ট। গত সপ্তাহে পোস্তা বাজারে একবস্তা পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮০০- ২০০০ টাকা। সেখানে মঙ্গলবার একবস্তা পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা।

লাগামছাড়া আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিক তরজা চলবে তরজার মতো।  কিন্তু, আলু-পেঁয়াজের বাজারদর এভাবে বাড়লে সংসার চলবে কী করে? সেই দুশ্চিন্তাই আপাতত ঘুম কেড়েছে মধ্যবিত্তের।