কলকাতা: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত জামাত জঙ্গিদের জেরা করতে কলকাতায় এল বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাবের প্রতিনিধি দল।


সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহাদিনের ৬ নেতাকে। তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম রয়েছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের এনআইএ-র চার্জশিটে। তারা হল, মৌলানা ইউসুফ, শাহিদুল ইসলাম, মহম্মদ রুবেল, আবুল কালাম ও জাহিদুল ইসলাম।

ধৃতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাবিদুল ও মহম্মদ রুবেল ওরফে রফিক বাংলাদেশের বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরেই এদিন এনআইএ হেফাজতে থাকা দুই জামাত জঙ্গিকে জেরা করতে কলকাতায় আসেন র‌্যাবের দুই গোয়েন্দা।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় কয়েকজনের। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরি হচ্ছিল। যা বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।

এরপরে গত জুলাই মাসে বিস্ফোরণ ঘটে বাংলাদেশের গুলশনে অভিজাত আর্টিজান ক্যাফেতে, বিস্ফোরণ ঘটে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াতেও। ঘটনার তদন্তে নামে র‌্যাব।

জাহিদুল ইসলাম ও মহম্মদ রুবেল বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন জামাত। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিস্ফোরণের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা জানতে ধৃত জামাত জঙ্গিদের জেরা করবেন র‌্যাবের আধিকারিকরা। পাশাপাশি, খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত জামাত জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশের জামাত নেতাদের যোগসূত্র জানারও চেষ্টা করবেন তাঁরা।

অন্যদিকে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে এদিন ফের মঙ্গলকোটে যায় এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত ইউসুফকে জেরা করে তাঁরা একটি ল্যাপটপের কথা জানতে পারেন। সেই ল্যাপটপের সন্ধানেই এদিন মঙ্গলকোটের একটি গ্রামে তল্লাশি চালায় এনআইএ। যদিও সেই ল্যাপটপের সন্ধান মেলেনি।