আজ কলকাতায় বণিকসভার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভাষাতেই কথা বলি না কেন, আমরা ভারতীয়। আমরা এক জাতি। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের অন্যতম আর্থিক শক্তিধর দেশ হয়ে উঠতে চলেছে। দারিদ্র্যের মতো চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হবে। সবাইকে একযোগে এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদের চলতি অধিবেশন পণ্ড হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমি এখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। আমার সংসদীয় গণতন্ত্রে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। আমার মনে হয়, সাংসদরা আদর্শ। তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি বহন করেন। গণতন্ত্রে সংখ্যাটাই সব নয়। সংসদে কম সদস্য থাকা দলগুলিকেও মতামত প্রকাশ করতে দেওয়া উচিত এবং তাঁদের কথা শোনা উচিত।’
উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, ‘সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখা উচিত। একজন সাংসদ যদি ক্ষুব্ধ হন, তাহলে হয় তাঁর মতামত প্রকাশ করা উচিত, না হলে কক্ষত্যাগ করা উচিত। কিন্তু তাঁর সংসদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো উচিত নয়। আমি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, হীরেন মুখোপাধ্যায়, জওহরলাল নেহরু, অটলবিহারী বাজপেয়ী, ইন্দ্রজিৎ গুপ্তর মতো সাংসদদের দেখেছি। তাঁরা মর্যাদা রক্ষা করতেন। সবার জেনে রাখা উচিত, রাজনীতিবিদরা শত্রু নন, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মাত্র। এখন জরুরি অবস্থা নেই। জরুরি অবস্থা জারি করার কোনও সম্ভাবনাও নেই। তবে কোন চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার জন্য কাজ করবে সংসদ, সেটা ভাবার জন্য গরজ আছে।’