কলকাতা: রোহিঙ্গা সমস্যার ক্ষেত্রে মানবিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়-উভয়ই দিকই রয়েছে। বাংলাদেশের মন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়র আলম এ কথা বলেছেন। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)-র সঙ্গে বিদেশী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির যোগ থাকার সম্ভাবনা খারিজ করেননি।

আলম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাখাইন প্রদেশে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেছেন, মায়ানমারে জঙ্গি হামলার ঘটনার নিন্দা আমরা করেছি, ভবিষ্যতেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ত মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৩,৭৯,০০০ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তারা বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশের মাটিতে কোনও যোগ গড়ে উঠেছে কিনা, তা তাঁদের জানা নেই। তবে এআরএসএ-র সঙ্গে যোগ না থাকলেও বিদেশী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির দ্বারা তারা অনুপ্রাণিতও হতে পারে। বিদেশী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তাদের যোগ থাকার সম্ভাবনা আমরা খারিজ করছি না।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধানের জন্য মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আর্জি জানিয়েছে।

আলম বলেছেন, এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেছেন, হাসিনা এক্ষেত্রে মানবিকতার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। হাসিনা বলেছেন, দেশ যদি ১০ কোটি মানুষকে দেখভাল করতে পারে, তাহলে ৮-১০ লক্ষ রোহিঙ্গদেরও পারবে।

আলম বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ।