সাহিত্যের পাতা ওল্টালে গোলাপ ও সুন্দরীর সম্পর্কের বহু নজির মেলে। তবে এবার সেই সম্পর্ক কাব্যের গন্ডি ছাড়িয়ে চলে এল বাস্তবেও।
রোজভ্যালির সঙ্গেও এবার জড়িয়ে গেল এক লাস্যময়ী অভিনেত্রীর নাম, যিনি এখন সর্বভারতীয় এক রাজনৈতিক দলের হয়ে হাত পাকাচ্ছেন।
ইডি এবং সিবিআই-এর একটি সূত্রের দাবি, তদন্ত চালিয়ে জানা গিয়েছে, এই লাস্যময়ী অভিনেত্রীকে নাকি গৌতম কুণ্ডু একসময়ে প্রচুর পরিমাণে সোনার বাট দেন। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি,
গৌতম কুণ্ডু একবার বিদেশ থেকে শুল্ক দফতরের নজর এড়িয়ে প্রচুর পরিমাণে সোনার বাঁট নিয়ে আসেন।
ভারতে এসে সেই সোনার বাঁটের প্রায় ৬০ শতাংশ তিনি দেন রোজভ্যালির একটি স্বর্ণ বিপণিতে। বাকি ৪০ শতাংশ সোনা তিনি রেখে দেন নিজের কাছেই।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে,
এই বাকি সোনার একটা বড় অংশই নাকি গৌতম কুণ্ডু টালিগঞ্জের এক লাস্যময়ী অভিনেত্রীকে দেন। যিনি ইদানীং রাজনীতিতেও বেশ পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
সূত্রের খবর,
ওই অভিনেত্রী গৌতম কুণ্ডুর নির্দেশেই সোনার বাটের কিছুটা নিজের কাছে রেখে দেন। বাকিটা পরিচিতদের মধ্যে ভাগ করে দেন।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এই অভিনেত্রী নিশ্চয় গৌতম কুণ্ডুর বিশ্বস্ত ছিলেন। নাহলে তাঁর কাছে রোজভ্যালি কর্ণধার সোনার বাঁট রাখতে দেবেন কেন? অভিনেত্রীই বা গৌতম কুণ্ডুকে কেন সাহায্য করবেন? তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ একত্রিত করার কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,
এরই সঙ্গে টালিগঞ্জের এক প্রথম সারির অভিনেত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গৌতম কুণ্ডুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রোজভ্যালির সঙ্গে টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
যদিও, ইডি এবং সিবিআই এ নিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলতে চাইছে না।।