মুখ্যমন্ত্রী শনিবার নবান্নে বলেছেন, ‘১ তারিখ মহরম। ১ তারিখ একাদশী পড়েছে। একাদশীতে আমরা বিসর্জন দিই না। এটা আমাদের কালচার। দশমীর দিনও বিসর্জন হবে। ২ তারিখেও বিসর্জন হবে। তিন তারিখেও হবে। চার তারিখ পর্যন্ত হবে। কারণ ৫ তারিখ লক্ষ্মী পুজো আছে।’
এদিকে, এক দিন বিসর্জন বন্ধ রাখা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘রাজ্য সরকার বলছে, দুর্গাপুজোর বিসর্জন করতে পারবে না। এরপর হয়তো বলবে, পদ্মফুল দিয়ে পুজো করা যাবে না। বলবে ঘাসফুল দিয়ে পুজো করুন। সরকার প্রশাসন চালাতে পারছে না। মুম্বইয়ে তো পুলিশ দুটি প্রসেশনই করায়। কলকাতায় পারছে না। পুলিশ যদি না পারে তা হলে সেনা ডাকুন। দার্জিলিঙের সময় সেনাকে ডেকেছেন। এক্ষেত্রেও সেনাকে ডাকুন। ওরাই বিসর্জন করবে। আপনারা বেড়াতে চলে যান।’
পাল্টা সুর চড়িয়েছেন মমতাও। তাঁর তোপ, ‘কোথাও কোথাও বলছে, মুম্বইয়ের পুলিশ দক্ষ, বাংলার পুলিশ দক্ষ নয়। বাংলার মতো এত বড় করে পুজো কোথাও হয় না। মুম্বইয়ে গণেশপুজো আর মহরম একদিনে হলে সামলাতে পারবে না। গত পাঁচ বছরে পুজো ও ইদ একসঙ্গে পড়েছে। সেটা আমরা দক্ষতার সঙ্গে সামলেছি।’
মুখ্যমন্ত্রীর গলায় এ দিন শোনা গিয়েছে হুঁশিয়ারির সুর। জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। এদিকে, হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগে রায়গঞ্জে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ বিজেপি নেতাকে।