পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত বারোটা নাগাদ ক্যাবে করে এসে সেক্টর ফাইভের একটি ক্যাফেটেরিয়ার কাছে নামেন ওই তরুণী। সেখানে তখন গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল চার অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় অর্ণব জানিয়েছে, তার কাছে রাস্তা জানতে চান তরুণী। এরপরই জোর করে এই গাড়িতে তোলা হয় তাঁকে!
অভিযোগ পুলিশি নজরদারি না থাকার সুযোগ নিয়ে সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় রাতভর জায়গায় চক্কর কাটে সাদা টাটাসুমোটি।
প্রথমে রিং রোডে গাড়ি নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর নিউটাউন হয়ে অ্যাকোয়াটিকার সামনের রাস্তা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, এখানেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে তরুণীকে মত্ত অবস্থায় গণধর্ষণ করে ওই ৪ জন!
এরপর সেক্টর ফাইভ হয়ে গাড়ি নিয়ে করুণাময়ীর দিকে যায় দুষ্কৃতীরা। তখন গাড়িতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তরুণী! ওই অবস্থাতেই বৈশাখী আবাসনের সামনে একটি খালের কাছে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে! রাত তখন তিনটে পনেরো!
পুলিশ সূত্রে দাবি,এরপর বেলেঘাটা সরোবরের কাছে গাড়ি রেখে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা।
এক অটোচালকের সাহায্যে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। খোঁজ মেলে গাড়ির মালিকের। সেখান থেকে গাড়ির সাব ভেন্ডারের। সাব ভেন্ডারের বক্তব্যের সূত্র ধরে শুভেন্দুর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ।
মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় শুভেন্দুর এক আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে।সোমবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানায় বামেরা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।