কলকাতা: সল্টলেকে ফের দুঃসাহসিক ডাকাতি। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট। গয়না, নগদ টাকা-সহ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন, ডাকাতির মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

ভর সন্ধেয় সল্টলেকে অভিজাত ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি। স্ত্রী, দুই মেয়ে, পরিচারিকার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ।

সল্টলেকের সি ই একশো ষাট নম্বর এই ফ্ল্যাটে থাকেন অমরনাথ চক্রবর্তী। পেশায় ব্যবসায়ী। শুক্রবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ তিনি ফিজিওথেরাপি করাতে যান। বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং পরিচারিকা। অমরনাথ চক্রবর্তীর বড় মেয়ে নম্রতার দাবি, কিছুক্ষণ পর তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর জন্য দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে ৬-৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

কারও হাতে ছুরি, কারও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীরা সকলকে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।

এরপর একটি দল অমরনাথ চক্রবর্তীর ছোট মেয়ে রিনিতার গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘরের আলমারির কাছে নিয়ে যায়। আরেকটি দল বাকি মহিলাদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসিয়ে রাখে।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সোনা ও হিরের গয়না, ছ’টি মোবাইল ও নগদ টাকা সহ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ করে পালায়।

ঘটনার খবর পেয়ে স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। তদন্ত শুরু করেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা বাংলায় কথা বলছিল। ডাকাতির ধরণ দেখে পুলিশের অনুমান ঘটনার নেপথ্যে পরিচিত কেউ। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান সন্তোষ পাণ্ডে জানিয়েছেন, ডাকাতির মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।