ঘটনার সূত্রপাত ২৭ মে। জিওলজির দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী সেদিন অ্যাডমিট কার্ড নিতে কলেজে আসেন। অভিযোগ, এসএফআই সমর্থক হওয়ায় তাঁকে কলেজের ইউনিয়ন রুমে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৬-৭ জন। বাঁশ ও ব্লেড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি জয়া দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কারও বিরুদ্ধে অনিময়ের অভিযোগ উঠলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না বলেও বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভর্তির সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনওরকম হেল্প ডেস্ক বসানো যাবে না। ভর্তি হবে প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে। কোনও রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
এদিকে, আশুতোষ কলেজের ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুদের দাবি, অভিযোগ নিতে প্রথমে গড়িমসি করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য অভিযোগ নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শুরু হয়েছে তদন্ত।