কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন। কাজে লাগাতে হল দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন।


নেভাতে সময় লাগল দেড় ঘণ্টা!অনেকেই বলছেন, এতদিন কি তাহলে জতুগৃহ হয়ে ছিল রাজ্যের পয়লা নম্বর সরকারি হাসপাতাল? কিন্তু কোথা থেকে লাগল আগুন?

রোনাল্ড রস ব্লকের ছ’তলার যে লাইব্রেরিতে আগুন লেগেছিল, তার কাছাকাছি রয়েছে দুটি মোবাইল এবং একটি টেলি মেডিসিনের টাওয়ার!

সূত্রের দাবি, সোমবার সকাল এগারোটা দশ নাগাদ আচমকা এখানে একটি জোরে আওয়াজ শোনা যায়। তারপরই দেখা যায় কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে!
আর এরপরই ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় আগুন।সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি টেলিমেডিসিনের টাওয়ারের খুব কাছাকাছি!
প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি, টেলিমেডিসিনের টাওয়ারে কোনও বিস্ফোরণ হয়েছিল? তার জেরেই পাশের লাইব্রেরিতে আগুন ছড়িয়েছিল?

সূত্র মারফত পাওয়া একটি খবর এই সম্ভাবনাকে আরও জোরাল করেছে। সূত্রের দাবি, পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, টেলিমেডিসিনের টাওয়ারে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়ায়।

সূত্র মারফত পাওয়া একটি খবর এই সম্ভাবনাকে আরও জোরাল করেছে।

সূত্রের দাবি, পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, মোবাইল টাওয়ারে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়ায়।

যেখানে আগুন লেগেছিল, সেই রোনাল্ড রস ব্লকে দুটি সিঁড়ি।

যে সিঁড়িটি দিয়ে ছ’তলার লাইব্রেরি পর্যন্ত যাওয়া যায়, সেটি এতটাই সরু, যে এদিন উঠতে ও জলের পাইপ তুলতে কালঘাম ছুটে যায় দমকলকর্মীদের!

অন্য যে সিঁড়িটি পাঁচতলা পর্যন্ত গিয়েছে, সেটিও কার্যত ব্যবহার হয় না। সারাবছরই অন্ধকার থাকে! এই সিঁড়ি দিয়েই এদিন নিচে নামানো হয় রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রায় পাঁচশো জনকে।!

স্বাস্থ্যসচিব আর এস শুক্ল বলেছেন, যেখানে আগুন লেগেছে সেটা লাইব্রেরি, ওখানে কোনও পেসেন্ট ছিল না। আসবাব পুড়েছে। নিচ তলায় রোগীরা ছিল। তাদের উদ্ধার করা হয়, রোগীদের কোনও ক্ষতি হয়নি।

অনেকেই বলছেন, হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, এটা যেমন সত্যি, তেমনি এসএসকেএমে যে অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থাও সঠিক ছিল না, সেটাই তো দেখিয়ে দিল এদিনের ঘটনা!

এখানেই শেষ নয়। রোনাল্ড রস ব্লকের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলি কবে বসানো হয়েছে, কবে রিফিল করা হবে...কোন কিছুরই উল্লেখ নেই!

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অগ্নিসুরক্ষায় ঢিলেঢালা মনোভাবের জেরেই এদিনের আগুন?

তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর হয়েছে দমকল। ঠিক হয়েছে, আপতকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য মঙ্গলবার থেকে পাকাপাকিভাবে সবসময়ের জন্য এসএসকেএমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন রাখা থাকবে।