কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোজা বিধানভবন হয়ে বিধানসভা। সেখান থেকে নিজের নিবাস। তারপর একেবার নিমতলা। বৃহস্পতিবার এই রাস্তা ধরেই শেষ ‘পথ হাঁটলেন’ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র। ৭৮ বছরের প্রবীন নেতার শ্রদ্ধায় সকাল থেকেই মৌলালির প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রদীপ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা সেখানেই প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় শোকপ্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি। একইরকম ভাবে শোকজ্ঞাপন করেছেন দীপা দাশমুন্সিও।


মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন বিধানসভায়। পুষ্পস্তবক নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদই বিধানসভায় পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, আর কতটা সময় লাগতে পারে। তাঁকে জানানো হয় প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মরদেহ বিধানসভায় আসতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। এরপর আর দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন সতীর্থের মরদেহ যেখানে রাখা হবে, সেখানেই পুষ্পস্তবক রেখে দিয়ে নবান্নের উদ্দেশে বেরিয়ে যান তিনি। “আমার কাজ আছে, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব”, বলে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হল না শেষ দেখা।



তবে আজ সকালেই প্রয়াত নেতার উদ্দেশে ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।



বিধানসভায় শাসক দলের হয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, নির্মল মাজি এবং তাপস রায়। বিধানসভায় সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।


বিধানসভায় না গেলেও প্রাক্তন নেতাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে বিধানভবনে এসেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। স্মৃতিচারণ করে সুব্রত বলেন, “বুক চিতিয়ে রাজনীতি করেছেন। ওঁরই ছত্রছায়ায় আমরা নকশালদের বিরুদ্ধে লড়েছি।”