কলকাতা: খিদিরপুর থেকে রাজ্য দফতর পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড-শোর অনুমতি দিল না পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, বাইক ও গাড়ি নিয়ে রোড শো করলে ব্যাপক যানজট হতে পারে ফলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, রোড শো হচ্ছেই।

গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক চলে রোড শো করা হবে কিনা তা নিয়ে। তাতে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজিৎ সরকার, রাকেশ সিংহ প্রমুখ। শেষমেষ সিদ্ধান্ত হয় রোড শো হবে, পুলিশ অনুমতি না দিলেও। সেইমত আজ দুপুর তিনটেয় আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে, মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত র‍্যালি করার কথা দলের কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। যদি পুলিশ পথ আটকায়, তাহলে র‍্যালি চিড়িয়াখানার সামনে থেকে মুরলীধর সেন লেনে যাওয়ার পূর্বে কালীঘাট ঘুরে যাবে। পথে বাধা না পেলে পূর্ব নির্ধারিত রুট দিয়েই যাবে র‍্যালি।

এর আগে লালবাজার দাবি করে, বাইক ও গাড়ি নিয়ে রোড শো করলে বিরাট যানজট হতে পারে। তাই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও দলের কলকাতা জোনের সহ আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তাতে থাকার কথা। এছাড়া ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কর্মসূচি যখন ঠিক হয়েছে, তা হবেই। পুলিশের অনুমতি চাইতে গেলে পুলিশ দেবে না। তাহলে অনুমতি নেওয়ার দরকার কী আছে? তৃণমূলের লোকেরা অনুমতি নেয় নাকি? যারা নিয়ম মানে তারা অনুমতি চায়। বিজেপি নেতারা যদি মনে করেন মিছিল করবেন, তাহলে করবেন। করা উচিতও, গণতন্ত্র কারও একার নয়।

দেবজিৎ সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ কয়েকটি বাইকের সংখ্যা কমাতে বলেছে, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে তাঁরা মিছিল বার করবেন।