কলকাতা: রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বিজেপি কার্যালয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় –বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বরাদ্দ ঘরে তালা পড়ল। এদিন আলিপুরের মিছিলে আসেননি শোভন ও বৈশাখী। যদিও আলিপুর থেকে এদিনের রোড শো হওয়ার কথা ছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বিজেপির হয়ে প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচী। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শোভন ও বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেন তাঁরা কেন এলেন না, তা জানা নেই। যদিও দলীয় অফিসে কারুর নামে কোনও ঘর রয়েছে কিনা, তা তাঁর জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন শুরু থেকেই বিজেপির রোড শো-তে শোভন ও বৈশাখীর আসা না আসা নিয়ে দোলাচল শুরু হয়। সূত্রের খবর, বৈশাখী আমন্ত্রণ না পাওয়াতেই শোভন আসেননি। এদিন শোভনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মানভঞ্জন করা সম্ভব হয়নি। আসেননি তিনি বা বৈশাখী। এরপর দলের রাজ্য সদর দফতরে শোভন ও বৈশাখীর বরাদ্দ ঘরে তালা পড়ল।
এদিনের ঘোষিত কর্মসূচীতে শোভন ও বৈশাখী না আসায় বিজেপি স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে। এরইমধ্যে শোভনদের ঘরে তালা পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, শোভন ও বৈশাখীর কাছে কি বিজেপির দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

দেড় বছর আগে দলে যোগ দিলেও এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি শোভন ও বৈশাখী। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপির কোনও কর্মসূচীতে তাঁদের দেখা যায়নি।  এরপর আবার কলকাতা জোনে শোভনকে পর্যবেক্ষক এবং বৈশাখীকে সহ-আহ্বায়ক নিযুক্ত করে গতমাসে তাঁদের দলের কর্মকাণ্ডে সামিল করার চেষ্টা চালু হয়েছিল। কিন্তু এদিনের কর্মসূচীতে শোভন ও বৈশাখী সামিল না হওয়ায় যথেষ্টই বিব্রত বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন আলিপুর থেকে বিজেপির রোড শো-তে নেতৃত্ব দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও অর্জুন সিংহরা। এদিন রোড শো-র অনুমতি নিয়ে একপ্রস্থ টানাপোড়েন চলেছিল। পরে পুলিশের মৌখিক অনুমতি পাওয়া যায় বলে বিজেপি জানায়। খিদিরপুরের বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পথে তৃণমূলের একটি মঞ্চ ছিল। সেই মঞ্চ থেকে বিজেপির মিছিলে ঢিল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। কৈলাস-মুকুলদের গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়।