গঙ্গাবক্ষে নিজের বাড়ি, এ যেনো অনেকেরই জন্য একটা স্বপ্ন মাত্র। যদিও উত্তর কলকাতায় এটা খুব একটা অবাস্তব নয়। গঙ্গার ধার বেয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহু বনেদি পরিবারের ভিটে ও বসতবাড়ী, যেখানে বংশপরম্পরায় থেকে এসেছে বহু মানুষ। গঙ্গার ইলিশ থেকে আরম্ভ করে গঙ্গার হাওয়া সব খেয়েই তাঁরা বড় হয়েছেন। নদীর পাড়ের বাড়ি থাকার আনন্দই আলাদা, মন খারাপ হলে চলে যান নদীর পাশে, উজাড় করে দিন আপনার মন প্রাণ। আবার মন ভাল হলেও চলে যান নদীর পাড়ে, চিৎকার করে গান করুন, হাওয়া খান - নদীর পাড়ের বাড়ির মজাই আলাদা।
এতদিন পর্যন্ত, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দারা এই নদীবক্ষে থাকার অনুভূতিটা পাননি। গঙ্গবক্ষে বাসা বাঁধার যে আনন্দ সেই আনন্দ থেকে তাঁরা বঞ্চিত থেকেছেন। কিন্তু আর নয়। এসে গেছে হাইল্যান্ড রিভার - দক্ষিণ কলকাতার বুকে নদীর পাড়ে সুন্দর বাড়ি। এ যেন দক্ষিণ কলকাতার এক নতুন রূপ। যারা চিরকাল অন্ধকারাচ্ছন্ন গলির মধ্যে থেকে এসেছেন, তাদের জন্য হাইল্যান্ড রিভার খুলে দিল এক নতুন দরজা। এই উন্মুক্তপ্রান্তরে আপনার ছোট ছোট স্বপ্নগুলো সফল হবে, এবং আপনার নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন আপনি সামনের বয়ে যাওয়া নদীটিকে দেখবেন, মনে হবে যেন সব দুঃখের, সব কষ্টের অবসান হলো। মনটা হঠাৎ করে ভাল হয়ে যাবে, এবং মনে হবে জীবনে যে কঠিন পরিশ্রমটা করেছেন সেটা অবশেষে সফল হলো।
দক্ষিণ কলকাতা হলো কলকাতার সবুজ দিক, তাই এদিকের আবহাওয়াও সুন্দর। চিরসবুজের মাঝে নিজের ছোট্ট একটা নীড়, আর তার সামনে বয়ে যাওয়া নদী - এ কোনো স্বপ্নের চেয়ে কম নয়। কিন্তু হাইল্যান্ড রিভারের আগমনে এই স্বপ্ন আর স্বপ্ন রইলো না। হয়ে গেল বাস্তব, এবং চলে এলো সত্যি সত্যি আপনার হাতের মুঠোয়। ম্যাগাজিনের পাতা বা সিনেমায় এরকম বাড়ি দেখে আর হাহুতাশ করতে হবে না, কারণ এইরকমই একটা বাড়ি হয়ে যেতে পারে আপনার একান্ত নিজের। আর তার জন্য আপনাকে শহরের বাইরেও যেতে হবে না। এ সব কিছুই আপনি পাবেন আপনার নাগালের মধ্যে, খোদ কলকাতা শহরে, তাও আবার সকলের প্রিয় দক্ষিণ কলকাতায়।
কি কি থাকছে এই হাইল্যান্ড রিভারে
হাইল্যান্ড রিভারে যখন থাকবেন, তখন একই ছাদের নিচে পেয়ে যাবেন সব রকমের সুবিধে, যার মধ্যে অন্যতম হলো:
- ৭৫০ মিটার লম্বা প্রমেনাড বা হাঁটার ও বসার খোলা যায়গা নদীর ধার বরাবর, শুধুমাত্র হাইল্যান্ড রিভারের বাসিন্দাদের জন্য। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, এখানে কোনও বাইরের লোক ভিড় করবে না, এই জায়গাটা একান্তই আপনার নিজের। সকালে বা সন্ধ্যেবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন – একা বা জীবনের বিশেষ মানুষটিকে নিয়ে, নদীর ফুরফুরে হাওয়ায় মন - প্রাণ উজ্জীবিত করে তুলুন।
- খেলাপ্রেমিদের জন্য হাইল্যান্ড রিভারে থাকছে বিশেষ আকর্ষণ। ইনডোর বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট ছাড়াও এখানে ফ্ল্যাট মালিকদের জন্য থাকছে বিলাসবহুল ক্লাবঘর। স্বাভাবিকভাবেই, ক্লাবঘর মানেই বিনোদনের আরও বহু জিনিস। খেলাধুলো থেকে খাওয়া-দাওয়া সবই পাবেন এখানে।
- হাইল্যান্ড রিভারের সব থেকে বড় সুবিধাজনক জিনিস হলো এর অবস্থান। পাশেই ৬.৮৫ কিলোমিটার লম্বা বিবিটি ফ্লাইওভার, যার ওপর দিয়ে আপনি শহরের যে কোনো প্রান্তে চলে যেতে পারেন। আজকাল যেকোনো বড় টাউনশিপ অবস্থিত হয় শহরের বাইরে, কিন্তু হাইল্যান্ড রিভার নিউ আলিপুর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত, তাই এখানে থাকা বা পৌঁছানো খুবই সুবিধেজনক।
- সবচেয়ে বড় ব্যাপার – এই সমস্ত কিছু আপনি পেয়ে যাচ্ছেন খুবই কম এবং সাশ্রয়ী মূল্যে।
হাইল্যান্ড রিভারে এখন সাইট ভিজিট চলছে, এবং এখানে নিয়ে আসার ও আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সব দায়িত্ত্ব আমাদের। সুতরাং, সাইট দেখার জন্য আপনারা বিল্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আর এদিক ওদিক তাকাবেন না। তৈরি হয়ে যান নদীবক্ষে ঠাঁই বাঁধতে। এটা সত্যি আর শুধুমাত্র স্বপ্ন নয়!