কলকাতা: আগে পঞ্চায়েত, তারপর কলেজ ভোট। নতুন সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য সরকার। তৈরি আপৎকালীন ছাত্র সংসদের মডেলও।

আগে ঠিক ছিল, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সূত্রের খবর, আরও পিছোচ্ছে ছাত্রভোট। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ছাত্রভোট করাতে চাইছে না সরকার। দু’বছর অন্তর ছাত্রভোটের নতুন মডেল চূড়ান্ত করেছে রাজ্য সরকার। জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ ছাত্র সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে গেলে কী হবে, তার বিকল্প মডেলও তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে উঠে এসেছে চারটি মডেল

১. কলেজের অধ্যক্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্র সংসদের দায়িত্ব নিতে পারেন

২. প্রয়োজনে ছাত্র সংসদের বদলে কমিটি তৈরি করে দিতে পারে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

৩. সাধারণ সম্পাদক কলেজ ছেড়ে দিলে সহকারী সাধারণ সম্পাদকের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পদাধিকারিকে বহাল রাখা।

রাজ্যের সিংহভাগ ছাত্র সংসদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অভিযোগ, শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই বার বার উত্তপ্ত হয়েছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষামহলের একাংশের প্রশ্ন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাহলে কি ছাত্র ভোটের অশান্তি এড়াতে চাইছে সরকার? যদিও পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না পাওয়াকেই শিখণ্ডী করছে সরকার।

নতুন মডেলে ছাত্র সংসদ হচ্ছে স্টুডেন্ট কাউন্সিল। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ক্যাম্পাসে অশান্ত রুখতে একমাত্র রাস্তা রাজনীতিমুক্ত ছাত্র সংসদ। সেখানে নতুন মডেল যত তাড়াতাড়ি কার্যকর করা যায়, ততই মঙ্গল।