কলকাতা:  কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স হাতে পেলে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই মেডিক্যাল জয়েন্ট নেওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার। আজ এমনই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। আশায় বুক বাঁধছেন পডুয়ারা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সঙ্গে এই পরীক্ষায় মেডিক্যালও থাকার কথা ছিল। কিন্তু, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের ফলে, শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পরীক্ষাই হয়েছে। সঙ্গে ছিল ফার্মাসি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দোলাচলে ৮৫ হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। কারণ, প্রথমত, মেডিক্যালের কেন্দ্রীয় প্রবেশিকা হয় কেন্দ্রীয় পাঠ্যক্রমে। আর পশ্চিমবঙ্গে জয়েন্ট হয় মূলত উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে৷

শিক্ষাবিদদের একাংশের মতে, এত কম সময়ে নতুন পাঠ্যক্রমে প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের পক্ষে বেশ কঠিন। এছাড়াও, সমস্যার আরও অনেক কারণ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় প্রবেশিকায় প্রশ্নপত্র হয় হিন্দি কিংবা ইংরেজিতে৷ ফলে, পরীক্ষা দিতে বসে এরাজ্যের বহু পড়ুয়াকেই ভাষাগত সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সর্বোপরি এ রাজ্যের মেডিক্যাল জয়েন্টে শুধুমাত্র, সেই পড়ুয়ারাই বসতে পারেন, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। দেশজুড়ে পরীক্ষা অভিন্ন হয়ে গেলে, আরও কঠিন হয়ে যাবে প্রতিযোগিতা।

এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স নিয়ে এ বারের জন্য আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের পড়ুয়ারা।

তবে বহু শিক্ষাবিদ প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের পথে হাঁটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তখন এ দেশে কেন্দ্রীয় এই নিয়ন্ত্রণের দরকার কী? তাছাড়া, নানা মানের প্রতিষ্ঠানে ঢোকার জন্য একটি প্রবেশিকা হলে, তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? নাকি আরও জটিল রূপ নেবে ভর্তি প্রক্রিয়া?
এমনই অসংখ্য প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে শিক্ষামহলে!

নিমাই পাণ্ডা, এবিপি আনন্দ