কলকাতা: রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের আবহের মধ্যেই রাজ্যে এবার শান্তিবাহিনী গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এঁটে না উঠতে পেরে এখন ‘চক্রান্তের পথ’ অবলম্বন করেছে বিজেপি। তিনি বলেন, তৃণমূলকে চুপ করাতে চক্রান্ত চলছে। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এর জন্য ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়াকে ভুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা বিজেপির একটা ট্রেন্ড। এর বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক থাকতে বলছি।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি সেখানে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিজেপি দলের পতাকা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। ক্ষমতার জোরে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ২-৩টি ব্লকে গণ্ডগোল হয়েছে। গণ্ডগোলের পিছনে বিজেপির মদত আছে। কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্ররোচনা দিচ্ছেন।
তাঁর বিশ্বাস, পল্লীর শান্তি পল্লীবাসীরাই রক্ষা করবে। এর জন্য রাজ্যব্যাপী শান্তিবাহিনী গড়ারও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, প্রতি বুথে থানাকে নিয়ে শান্তিবাহিনী গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তিবাহিনীতে পুলিশের সঙ্গে থাকবেন এলাকাবাসী।
তিনি জানান, ৬০ হাজার বুথে গড়া হবে শান্তি বাহিনী। স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে পুলিশ কাজ করবে। প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নতুন করে প্রকাশ্যে রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে কোনও কথা না বললেও, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সমালোচনায় সোচ্চার হন।
রাজ্যপালকে ‘বিজেপির তোতাপাখি’ হিসেবে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, আলু আর আলুবখরা কি এক? রাজ্যপালের ক’টা মুখ আর ক’টা মুখোশ, জানতে চায় বাংলা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির চিঠি খসড়া করে দেন রাজ্যপাল।