বিজেপি কর্মীদের প্রত্যাঘাতে ধুন্ধুমার হয়ে উঠল এলাকা। দু’পক্ষের খণ্ডযুদ্ধ গড়াল রক্তারক্তি পর্যন্ত।
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ রাস্তায় নেমে পড়ে। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতরের কাছে তাঁরা জমায়েত হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের এগোতে দেখে বিজেপি দফতর থেকে রে রে করে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন ৩০-৩৫ জন দলীয় কর্মী।
বিজেপির মহিলা কর্মীর হাতেও তখন লাঠি দেখা যায়।
উল্টোদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের হাতেও লাঠি দেখা গিয়েছে।
বিজেপি সমর্থকদের দলে ভারি দেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা প্রথমে সেখান থেকে ছুটে পালায়। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যে দলে ভারি হয়ে তারা আবার ফিরে আসে। ততক্ষণে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরাও।
রাস্তা থেকে ইটের টুকরো তুলে তারা বিজেপি দফতরের দিকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে শুরু করে।
উড়ে যায় ভাঙা টিউব লাইটের টুকরো। তৃণমূলকর্মীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে মাথা ফেটে যায় কয়েকজন বিজেপি কর্মীর। কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।
গোটা এলাকা তখন রণক্ষেত্র পরিণত হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় গার্ডরেল দিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষকে কোনওমতে আলাদা করে তারা।
পুলিশ একদিকে যখন বিজেপি কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করছে, তখন অন্যদিকে পুলিশের বাধা সত্বেও ইট ছুড়তে থাকে তৃণমূল সমর্থকরা।
এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি আমাদের ইট মারলে কি আমরা মোয়া ছুঁড়ব।
এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছে বিজেপি। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকেও।
বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহের দাবি, পরিকল্পনামাফিক হামলা, কিন্তু এতেও তদন্ত থামেনি।
বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর, কিছুক্ষণ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউও অবরোধ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। এদিকে, সন্ধেয় সিজিও কমপ্লেক্সে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা।
বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে তৃণমূলের সংসদীয় দল। তারপর সংসদ ভবন চত্বরে ধর্না দেখাবেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘিরে রাজ্য এবং রাজধানী, সব জায়গায় আন্দোলন পৌঁছে দিতে চাইছে তৃণমূল।