ঘিঞ্জি এলাকা এবং সরু রাস্তা হওয়াতে প্রথমে পথেই আটকে যায় দমকলের গাড়ি। পাশাপাশি হাওয়ার বেগ বেশি থাকায় দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। দমকল ঢুকতে না পারায় এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই বালতি করে যে যেভাবে পেরেছেন আগুন নেভানোর চেষ্টায় নেমে পড়েন। পরে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের তৎপরতায় আগুন ঘন্টাখানেক পর নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ কোনও একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিট হওয়ার জেরে আগুন লাগে। তাদের বক্তব্য এলাকার ৫০-৬০ জন যুবক আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাঁপিয়ে পড়েন বলেই মাত্র চার-পাঁচটি বাড়িই ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তা প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাঁপিয়ে না পড়লে ২০টি বেশি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যেত বলেই জানান তারা।
গতকালই বাগবাজারের হাজার বস্তি এলাকায় বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। একের পর এক সিলিন্ডার ফেটে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল যে আগুন। যে আতঙ্কের রেশ শহরবাসীর মনে টাটকা থাকায় নিউটাউন চত্বরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর পুর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তাপস চ্যাটার্জি। ঘটনাস্থলে নিউটাউন থানার পুলিশ। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যাইনি।
এদিকে, আজ বাগবাজারের ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উদ্বোধন কার্যালয়ের। তবে অক্ষত রয়েছে মায়ের বাড়ি। আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গৃহহীন ঝুপড়িবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন।