কলকাতা: ক্যালেন্ডারের পাতায় এখনও চৈত্র। কিন্তু শেষ বসন্তেই প্রখর গ্রীষ্মের আঁচ। কলকাতার তাপমাত্রা পেরিয়ে গেল ৪০ ডিগ্রির ঘর। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। একে দেখা নেই কালবেশাখীর, তার ওপর বেড়ে চলা পারদের সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঊর্ধবমুখী থাকায় অস্বস্তি চরমে উঠেছে শহরবাসীর। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রির মধ্যে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কালবৈশাখী তো দূর অস্ত, উল্টে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে খরা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কর্নাটকে খরা পরিস্থিতি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। পানীয় জলের তীব্র হাহাকার। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চলছে জলাশয় পাহারা। ইতিমধ্যেই তেলঙ্গনায় তাপপ্রবাহে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পারদ ছাড়িয়েছে ৪৬ ডিগ্রি। ইলাহাবাদের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি। অশনি-সঙ্কেত শুনিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবনও। আবহাওয়া-বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এবছর দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি গরম পড়বে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাপপ্রদাহ চলবে।