কলকাতা : সল্টলেকের এ জে ব্লকে কঙ্কালকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, ওই বাড়িতে নিয়মিত তন্ত্র সাধনা হত। ছেলেকে খুন করে তন্ত্রমতে দেহ পোড়ানো হয়েছিল বলেই প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বাড়ির পিছন থেকে পোড়া কাঠের টুকরো ও ভস্মের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রথমে চেয়ারে বসিয়ে ও পরে মাটিতে শুইয়ে দেহ পোড়ানো হয়। দেহ পোড়াতে ব্যবহার করা হয় ঘি, কর্পূর, ঘুঁটে, কাঠ।
বিধাননগর পূর্ব থানা ও বিধাননগরের গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার মৃতের বাড়িতে ঘটনার পুনর্নিমাণ করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তাতেই উঠে এসেছে,
১২ অগাস্ট রাত ১টা ২০-তে খুন করা হয় বাড়ির বড় ছেলে অর্জুন মাহেশ্বরীকে।ছোট থেকেই কিডনি ও লিভারের সমস্যার কারণে অসুস্থ ছিলেন অর্জুনে।প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে অচৈতন্য করা হয় তাঁকে। তারপর ঘরের মধ্যেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। এরপর সেই পোড়া কঙ্কাল নিয়ে গিয়ে রাখা হয় ছাদে।
সল্টলেকের এ জে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়িতে গত ১০ ডিসেম্বর মিলেছে অর্জুন মাহেশ্বরীর পোড়া কঙ্কাল। বড় ছেলেকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতের মা গীতা ও ছোট ভাই বিদূরকে।
কিন্ত খুনের মোটিভ কী, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। বিশেষ করে বাড়ি থেকে ত্রিশূল সহ বেশ কিছু তন্ত্রমন্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার হওয়ায় রহস্য আরও জটিল হয়।
মঙ্গলবার মৃতের মা ও ভাইকে নিয়ে বাড়িতে যায় বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশ ও বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, কীভাবে মারা হয়েছিল অসুস্থ বড় ছেলেকে। কীভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেহে। তারপর পোড়া মৃতদেহ কীভাবে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়, এ সবই পুনর্নিমাণের সময় দেখিয়েছেন মৃতের মা ও ভাই।

গত ১০ ডিসেম্বর মৃতের বাবা অরুণ মাহেশ্বরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে এই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পোড়া কঙ্কাল। পরে জানা যায়, সেটি বড় ছেলে অর্জুনের।
বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে বাবা অরুণ থাকেন অন্যত্র। এই বাড়িতে দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন গীতা। ঘটনার সময় মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না বলে সূত্রের দাবি।