ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: কোথাও প্লাস্টিকের ত্রিশূল, কোথাও লাল সুতো। ঘরময় ছড়ানো তন্ত্রসাধনার জিনিস। সল্টলেকে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তন্ত্রযোগ আছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ছেলের খুনের অভিযোগে ধৃত মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিনারায় পৌঁছতে চাইছে পুলিশ।


সল্টলেকে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কি তন্ত্র সাধনার যোগ? ছেলেকে খুনের আগে কি কোনও তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মা? ঘরময় ছড়ানো জিনিসপত্র দেখে তেমনই অনুমান পুলিশের। রবিবার বিকেলে সল্টলেকের এজে ব্লকের এই বাড়িতে তল্লাশি চালায় ফরেন্সিক দল ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ির ছাদ থেকে অর্জুন মাহেশ্বরীর পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার হয়, সেই বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে তন্ত্র সাধনার ছাপ। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ত্রিশূলের চিহ্ন। কোথাও প্লাস্টিকের ত্রিশূল পোঁতা। বাড়ির পিলারে বাঁধা লাল সুতো।

বৃহস্পতিবার বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় ২৫ বছরের অর্জুন মাহেশ্বরীর পোড়া কঙ্কাল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২ ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন গীতা মাহেশ্বরী। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কিছুদিন আগেই খুন করা হয় যুবককে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় পোড়ানো হয় মৃতদেহ। বড় ছেলেকে খুনের অভিযোগে মা গীতা ও মৃতের ভাই বিদূরকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ছেলেকে খুনের কথা কবুল করেছেন মা। কিন্তু মা ও ভাই ছাড়া খুনের চক্রান্তে আরও কেউ জড়িত ছিল কি?

পুলিশ সূত্রে খবর, অসুস্থ অর্জুনের সঙ্গে মায়ের প্রায়ই অশান্তি হত। অসুস্থ ছেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই কি খুন? না কি অন্য কোনও কারণ ছিল খুনের পেছনে? সবদিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, করা হবে ঘটনার পুর্নর্নিমাণ।