কলকাতা: জামাত উল মুজাহিদিন নয়, বর্ধমানে আটক সন্দেহভাজন সরাসরি আইএসআইএস-র সঙ্গে যুক্ত। সোমবার রাত থেকে টানা জেরার পর গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই আইএসআইএস-র সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বছর ২৫-র ওই যুবকের।


শুধু তাই নয়, বীরভূমের লাভপুর বিডিও পাড়ায় বাড়ি মসিউদ্দিন ওরফে মুসা নামের আটক ওই যুবকের সঙ্গে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা সফি আরমারের নিয়মিত ই-মেল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট-র মাধ্যমে কথোপকথন হত। পাশাপাশি, গোয়েন্দারা এও জেনেছেন যে, মুসার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ই-মেল চ্যাট মারফত বাংলাদেশের সন্দেহভাজন জনা দু’য়েক আইএস জঙ্গির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। মুসার কাছ থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও একটি ভোজালি জাতীয় ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশন আসে মুসা। তারপর ধর্মতলায় গিয়ে ধারাল অস্ত্র কেনে এবং ফের হাওড়া স্টেশনে এসে আপ বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে চেপে বসে। চেন্নাই থেকেই গোয়েন্দারা তার পিছু নিয়েছিলেন। শেষমেষ বর্ধমান রেল পুলিশের সাহায্যে তাকে বর্ধমান স্টেশনে আটক করা হয়। রাতভর বর্ধমান জিআরপি থানাতে জেলার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং সিআইডি-র অফিসাররা জেরা করেন মুসাকে। ভোরবেলা তাকে বর্ধমান থেকে বের করে বেলায় ভবানী ভবনে সিআইডি-র সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়েছে। এনআইএ-র গোয়েন্দারাও মুসাকে জেরা করেছেন একপ্রস্থ। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত জামাত জঙ্গিদের সঙ্গে মুসার যোগসূত্র মেলেনি।