পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা NIV এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কো-ভ্যাকসিন। যার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে কলকাতার নাইসেড। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবককে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে মুহুর্মুহু ফোন আসছে নাইসেড কর্তৃপক্ষের কাছে।
নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেছেন, ‘এটা থার্ড ফেসের ট্রায়াল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে ২৪টি সংস্থা। তার মধ্যে আমরা একটা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রায়াল শুরু করে দেব। এখন থেকে প্রচুর লোক আমাকে ফোন করছে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে।‘
কিন্তু কীভাবে হবে স্বেচ্ছাসেবক বাছাই? নাইসেড সূত্রে দাবি, প্রথমে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হবে। যাঁরা ফোনে যোগাযোগ করবেন, প্রাথমিক বাছাইয়ের পর তাঁদের ডেকে শারীরিক পরীক্ষা হবে।
তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে বেশকিছু বিধি নিষেধ! যেমন, একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকবে। তার মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবক বাছা হবে।
কেউ আগে করোনা আক্রান্ত হলে স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না। স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না অন্তঃসত্ত্বারা। তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বেচ্ছাসেবক হওয়া যাবে। একবার স্বেচ্ছাসেবক হলে ১ বছর নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না।
নাইসেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে ২১-এর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে। নাইসেড সূত্রে খবর, কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে কলকাতার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে।
এদিকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হবে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর। ‘কোভো ভ্যাক্স’ তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা ‘নোভা ভ্যাক্স’। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটও। আরেক ভারতীয় সংস্থা পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটও মার্কিন এই সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।