কলকাতা:  ফেরানো হচ্ছে প্রাথমিকে বাতিল নিয়োগপত্র। শর্তসাপেক্ষে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এরই সঙ্গে চলতি বছরে ফের টেট নেওয়ার সিদ্ধান্ত। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই এপ্রিলের শেষে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির সম্ভাবনা।

প্রাথমিকে ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র দিলেও বিতর্ক থামেনি। জেলায় জেলায় নিয়োগপত্র দিয়েও নানা কারণে তা বাতিল করা হয়। তার জেরে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছিল জেলা থেকে সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পর্যন্ত।

শেষমেশ, সেই সব বাতিল নিয়োগপত্র ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে চাকরির সুযোগ থাকছে নিয়োগপত্র বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের।

শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, প্রাথমিকের নিয়োগ জট কাটাতে তত্পর সরকার। শুধু তাই নয়, চলতি বছরে ফের নতুন করে টেট নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর,  রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা আরসিআই-এর প্রশিক্ষণকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য। আদালতের নির্দেশ মেনে ২৬০ জন প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণের কাউন্সেলিং-এরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত ৪৪২ জন টেট উত্তীর্ণ পার্শ্বশিক্ষককেও নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে।

এর পাশাপাশি, পাহাড় এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করা ৫০৩ জনের মধ্যে ৩১৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে।

নিয়োগ জট কাটিয়ে প্রাথমিকে ফের টেট-এর সিদ্ধান্ত হলেও উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঠিক যেভাবে এখনও অস্পষ্ট নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশের শিক্ষকদের ভবিষ্যত্‍।