কলকাতা: টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন কলকাতায় বসবাসকারী মহীশূরের শাসকের বংশধররা।


টিপু সুলতানের পুত্র যুবরাজ মঈনউদ্দিনের ষষ্ঠ বংশধর বখতিয়ার আলির দাবি, মন্ত্রীর মন্তব্য ভিত্তিহীন ও লজ্জাজনক। তিনি বলেন, একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে এধরনের অবমাননাকর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। নিজের রাজনৈতক ফায়দার জন্যই এধরনের সস্তা মন্তব্য করছেন তিনি। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছি। এরজন্য আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে। সম্ভবত, তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হবে।


গত ২১ তারিখ, টুইটার মারফৎ হেগড়ে কর্নাটক সরকারকে জানান, আগামী ১০ নভেম্বর টিপু সুলতান জয়ন্তী উৎসবের মতো ‘লজ্জাকর’ উদযাপনের জন্য তাঁকে যেন আমন্ত্রণ না জানানো হয়। হেগড়ের ট্যুইট, নৃশংস খুনি, বদ্ধ, গোঁড়া ধর্মোন্মাদ, গণধর্ষণকারী বলে যাকে লোকে চেনে, এমন একজনকে মহিমান্বিত করে তোলার লজ্জার আসরে আমায় আমন্ত্রণ না জানাতে বলেছি কর্নাটক সরকারকে।


এপ্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে কি না জানতে বখতিয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালে টিপু সুলতান জয়ন্তী পালন করার জন্য কর্নাটক সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন হেগড়ে। সেই সময় উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী একশ্রেণির মানুষ অভিযোগ করেন, অষ্টাদশ শতাব্দীর শাসক আদতে ‘কন্নড়-বিরোধী’ ও ‘হিন্দু-বিরোধী’ ছিলেন। উত্তর কন্নড় জেলায় টিপু সুলতান জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে হেগড়েকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।