কলকাতা:  শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্ত ঝরল খাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ। উপাচার্যের কাছে টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক অভিযোগ করেন, ছুরি দিয়ে তাঁর হাতে আঘাত করে পালিয়েছে ২ বহিরাগত। অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্পাসে থাকতে গেলে টিএমসিপির বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের কথা শুনতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
টিএমসিপির একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ অধিকারী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি-র ইউনিট প্রেসিডেন্ট  কায়ুম মোল্লা ও বহিরাগত ছাত্রনেতা তীর্থপ্রতিম সাহার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনজনই। সৌরভ অধিকারী জানিয়েছেন, আমি এই ঘটনায় জড়িত নই। কারা করেছে বলতে পারব না। কায়ুম মোল্লার দাবি, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ জড়িত নয়। আর বহিরাগত ছাত্রনেতার পাল্টা অভিযোগ, সবই বদনাম করার চেষ্টা। কিন্তু নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে কীভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকল সশস্ত্র বহিরাগতরা? তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বার বার কড়া বার্তা দিয়েছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী, বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত। তার পরেও একেবারে অস্ত্র সহ ইউনিয়ন মরুমে ঢুকে টিএমসিপির ওপর হামলার অভিযোগ টিএমসিপির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে।