কলকাতা: নোট বাতিল, জিএসটি-র পর এবার এফআরডিআই বিলকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে অন্যতম হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল। সংসদে যেমন এর বিরুদ্ধে সরব হবে তৃণমূল, পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন,  ‘এটা ড্রাকোনিয়ান ল। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিবাদে নামতে হবে।’

বিজেপি-র বিরুদ্ধে সংসদে সরব হওয়ার জন্য ৬ জনের কমিটি গড়েছে তৃণমূল। সেই কমিটিতে আছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা।

আফরাজুল খানের হত্যা-সহ নানা ইস্যুতে বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ইস্যুতে দিনকয়েক আগে প্রকাশ্য সভায় তাঁকে সতর্ক করেন মমতা। এদিন এ ব্যাপারে অনুব্রতকে ফের সতর্ক করেন মমতা। সবার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘বিজেপিই আমাদের প্রথম ও প্রধান শত্রু। তবে কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে গিয়ে কোনও খারাপ ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।’

এদিন মিড ডে মিল নিয়েও কেন্দ্র বিরোধিতায় সুর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘এফসিআই বলেছে চাল দিতে পারবে না। মিড ডে মিল কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চাইছে। এটা রাজ্য চালু রাখবে।’

সংগঠনকে জোরদার করতে, একেবারে বছরের শুরু থেকেই বেশ কিছু কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ৮ তারিখ পর্যন্ত রাজ্য, জেলা থেকে ব্লক, সর্বস্তরে মিছিল হবে। সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানে জোর দেওয়া হবে। ২৪ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে ছাত্র-যুব রাজ্য সম্মেলন। মূল বক্তা মমতা। তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক শাখা। দায়িত্বে ইন্দ্রনীল সেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যে শক্তিসঞ্চয় করতে চাইছে বিজেপি। তাদের মোকাবিলায় নানা ইস্যুতে বিজেপি এবং কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরদার করছে তৃণমূল। পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে চাইছে তারা।