কলকাতা: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই সিজিও কমপ্লেক্সে ছুটে গেলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘিরে ঊর্ধ্বমুখী রাজনীতির পারদ । কলকাতা থেকে বিধাননগর। উত্তপ্ত সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ....উত্তেজনার আঁচ সিজিও কমপ্লেক্সেও।

দুপুর ৩.২০-তে জানা যায়, দফায় দফায় জেরার পর রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।এরপর নবান্ন থেকে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিকেল পৌনে ছয়টা নাগাদ নেত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মুকুল রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। চলে আসেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সৌগত রায়, সাধন পাণ্ডে, শশী পাঁজা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়--সহ দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ।

তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহারণ। কোনও অবস্থাতেই আমাদের মাথা নত করা যাবে না।

ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, এ ভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।

আগামীকাল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করার পর, সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢোকেন প্রথম সারির কয়েকজন তৃণমূল নেতা। সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম সেলের তরফে তাঁদের বলা হয়, ৩ তলায় যেতে। তৃণমূল সূত্রে দাবি, গ্রেফতারির পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের কথা হয়েছে।

যদিও সিবিআই সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সুদীপের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কথা হয়নি। তাঁরা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সুদীপ ছিলেন ওপারে।

সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সোজা নবান্নে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। কথা বলেন দলনেত্রীর সঙ্গে। এরপর নবান্ন থেকে বেরনোর সময়ও, সুদীপের গ্রেফতারি নিয়ে ফের নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার গ্রেফতারির পর থেকেই তাপস পালের সঙ্গী স্ত্রী নন্দিনী। একই ছবি দেখা গিয়েছে সুদীপের ক্ষেত্রেও। স্বামীর গ্রেফতারির খবর পেয়েই, লাগেজ নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে চলে আসেন তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।