সম্প্রতি, নারদ নিউজের স্টিং-ফুটেজে যেভাবে তৃণমূলের তাবড় নেতা-নেত্রীদের দেখা গিয়েছে, তাতে দলের অধ্যাপক সাংসদের এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ফল ঘোষণার আগে আসলে ঘুরিয়ে নিজের দলকেই বার্তা দিলেন সুগত বসু। বুঝিয়ে দিলেন, ভোটে হার-জিত নয়! রাজনীতিতে মূল্যবোধটাই আসল!
সরাসরি নারদের নাম মুখে না নিলেও, এর আগেও একাধিকবার নেতাজি পরিবারের এই সদস্যের গলায় শোনা গিয়েছে দুর্নীতির প্রসঙ্গ! জানিয়েছিলেন, এমন কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে যেগুলি দেখেছেন, তাতে বাংলার আত্মমর্যাদায় আঘাত লেগেছে। তাঁর আশ্বাস ছিল, আমরাই সেই কালিমা ঘোচাব। ব্যক্তিগতভাবে সচেষ্ট হব, যাতে বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি।
সুগত বসুর মতোই নানা সময়ে, নারদ-ইস্যুতে নাম না করে সরব হয়েছেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। যাঁকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছে শাসকদলের সংসদীয় বোর্ড! সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, সুগতর কৌশলী জবাব, ১৯ মে জানা জাবে এখানে কী হবে। শুধু বলব, এখানে শান্তি চাই। ঐক্য চাই। শুভবুদ্ধি চাই।
অধ্যাপক বলছেন, কিন্তু, কেউ শুনছে কি?