কলকাতা: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের। পরিবারের দাবি, সোমবার সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ রিপন স্ট্রিটের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৬৪ বছর বয়সী এই সাংসদ। বেলভিউ নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে, সোয়া বারোটা নাগাদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদের জীবনাবসানের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীও। প্রয়াত সাংসদের বাড়িতেও যান তিনি। শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মারা যাওয়ার মতো বয়স হয়নি। দুঃখজনক।
সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে নারদ মামলার প্রসঙ্গও। বলেন, ডেডবডি যখন আসছে, তখনও নোটিস পাচ্ছে। চাপের মধ্যে ছিল।





সূত্রের দাবি, সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদের খোঁজ করতে তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে ইকবাল সেসময় বাড়িতে ছিলেন না। এই বাড়িতেই থাকেন ইকবালের দাদা, তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদও।
সূত্রের দাবি, সিবিআই অফিসাররা ফিরে যাওয়ার পর সুলতানই নারদকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ফোন করে বলেন, ইকবাল মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে যাবে।
সিবিআইয়ের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সুলতান আহমেদের ওপর কোনও চাপ তৈরি করা হয়নি। তাঁকে ফোন করা হয়নি, তলবও করা হয়নি। তাঁর কাছে কিছু জানতেও চাওয়া হয়নি।