কলকাতা: সিবিআই নিয়ে ফের মোদী সরকারকে আক্রমণ তৃণমূলনেত্রীর। চ্যালেঞ্জের সুরে বললেন, জেলের খেল একদিন খতম হবে। নজর ঘোরাতে অবান্তর কথা, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
বিরোধী থাকাকালীন প্রায়শই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ তুলত বিজেপি। এখন তাঁরা ক্ষমতায়। আর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘুরিয়ে ইঙ্গিত করেছেন সিবিআইয়ের উচ্চপদে মোদীর রাজ্য গুজরাত ক্যাডারের অফিসারদের নিয়োগ নিয়েও।
শুক্রবার দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, এটা আসল সিবিআই নয়। এটা আসল সিবিআই নয়। এটা গুজুবাবুদের সিবিআই। নেংটি ইঁদুর। তাঁর দাবি, বিজেপি সিবিআইকে দিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করছে। এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির ক্ষমা নেই।
যদিও, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহারের অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সিবিআই আমরা পরিচালনা করি না। আদালতের নির্দেশে তদন্ত। অবান্তর কথা বলে নজর ঘোরাতে চাইছে।
এই অভিযোগ অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের নয়। সারদা থেকে রোজভ্যালিকাণ্ডে সিবিআই যখনই তৃণমূলের কোনও নেতা, মন্ত্রী বা সাংসদকে গ্রেফতার করেছে, তখনই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এদিন তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুর। বলেন, কত জেল বানাবেন। সবাইকে জেলে ভরো। একদিন জেলের খেল খতম হবে। আক্রমণের জবাব কটাক্ষে দিয়েছে বিজেপি। দিলীপের খোঁচা, আমি তো ভেবেছিলাম ভুবনেশ্বরে জেল দেখতে গেছেন।
দু’দিন আগেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের জেল-যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের গলায়। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চে অনুপস্থিত ছিলেন নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে শুভেন্দুর গরহাজিরা নিয়ে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকী, শুভেন্দুর ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ দলনেত্রীও। তাঁর দাবি, শুভেন্দুকে এসএমএস করা হছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী নিজে অবশ্য এনিয়ে মুখ খোলেননি।