কলকাতা: বিপুল জয়ের পর তৃণমূলের অন্দরে এখন ময়নাতদন্ত। অন্তত ১০টি আসনে অন্তর্ঘাতের কারণে তাদের পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চান তৃণমূলনেত্রী। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই রিপোর্ট চেয়েছে কালীঘাট।


 

দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে এবারের বিধানসভা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তাদের ঝুলিতে ২১১টি আসন। কিন্তু, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, কমপক্ষে আরও ১০টি আসনে তারা অনায়াসে জিততে পারত। মূলত দলীয় অন্তর্ঘাতের কারণেই এই আসনগুলি তাদের হাতছাড়া হয়েছে। আসনগুলি হল, হাওড়ার আমতা, নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম এবং রানাঘাট দক্ষিণ, বাঁকুড়ার বড়জোড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও হলদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি ও বাগদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার যাদবপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট

 

এই সব আসনগুলিতে তৃণমূলের হারের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতির কাছে রিপোর্ট চেয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি, পরাজিত প্রার্থীদের থেকেও আলাদা রিপোর্ট চেয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কালীঘাটে। এই সব রিপোর্টে যাঁদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটা সত্যি, তা নিজস্ব সূত্র মারফৎ‍ যাচাই করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্তর্ঘাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

 

বুধবার কালীঘাটে, নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাংসদদের বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে থাকার জন্য বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ওই দশটি আসনে হারার কারণ নিয়েও পর্যালোচনা হবে।

 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে কড়া শৃঙ্খলায় বাঁধতে চান তৃণমূলনেত্রী। নানা কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্যে দিয়ে তিনি দলের সর্বস্তরে সেই বার্তাই দেবেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের একাংশের। তারা এও মনে করছে, মানুষের বিপুল সমর্থন তৃণমূলনেত্রীর পক্ষে যাওয়ায়, এ কাজ তিনি মসৃণভাবে করতে পারবেন। যা দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে সাহায্য করবে।