কলকাতা: তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তা সত্ত্বেও টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত চারুচন্দ্র কলেজ। পরীক্ষা চলাকালীন দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর। ঘটনায় নাম জড়াল বিদ্যুৎমন্ত্রীর ছেলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
জানুয়ারি মাসেই কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন মিটেছে। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন্দলের জেরে অশান্তি থামল না! এবার অগ্নিগর্ভ হল দক্ষিণ কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজ! ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরল। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ফুলের টব।
সোমবার ছিল দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। সেই সময় হামলা হয় কলেজে। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
কিন্তু কারা এভাবে কলেজে তাণ্ডব চালাল? স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের দিকে আঙুল তুলেছেন টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক! যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী পুত্র। ছেলেকে ক্লিনচিট দিয়েছেন বাবাও। ঘটনার খবর পেয়ে, বিকেলে কলেজে আসেন টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রী। এই ধরনের ঘটনা যে বরদাস্ত করা হবে না, সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দ্বন্দ্বের কারণ কী? কেন এভাবে ভাঙচুর হল কলেজে? ক্ষমতা নাকি আর্থিক কোনও কারণ? অধ্যক্ষের মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাঁর দাবি, কলেজের সোশ্যালের জন্য ৭ লাখ টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি জানিয়ে জেন, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
কলেজ সূত্রে খবর, টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে স্পোর্টস কোটার সুযোগ সুবিধা নিয়েও ঝামেলা চলছিল। চারুচন্দ্র কলেজ বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। কিন্তু তাতেও বারবার সামনে এসেছে কোন্দল। পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচনে একবার তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই হারতে হয়েছিল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে! গোলমালের জেরে কিছুদিন আগে কলেজে প্রশাসকও নিয়োগ করতে হয়।
তবে এ দিনের ভাঙচুর নজিরবিহীন! যা তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।