কলকাতা: জয়েন্ট জালিয়াতি রুখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার ছিল হাতঘড়িতে নিষেধাজ্ঞা। এবার পেনও আনতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। পেন দেবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই। আগামী বছর থেকে নয়া নিয়ম কার্যকরের ভাবনা।
প্রযুক্তি যত উন্নত হয়েছে, দিনে দিনে ততই বদলেছে নকল করার পদ্ধতিও। জ্যামিতি বক্সে টুকরো কাগজ, স্কেলের পিছনে ক্ষুদে হরফের লেখা থেকে হালে মোবাইল, ব্লু টুথ। পাল্লা দিয়ে তৈরি হয়েছে নকল ধরার কৌশলও।
এসব মাথায় রেখে এ বছরই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় নিষিদ্ধ হয়েছে হাতঘড়ি। পরিবর্তে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে টাঙানো হয়েছে দেওয়াল ঘড়ি। তা সত্ত্বেও বিধি মানছে কে?
এই প্রেক্ষাপটে বোর্ডের নয়া পরিকল্পনা, আগামী বছর থেকে পেন নিয়ে হলে ঢুকতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। পেন দেবে বোর্ডই। পরীক্ষায় নকল রুখতে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে তারা। সেই মতামত খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু সুপারিশও করেছে বোর্ডকে। সেই প্রেক্ষাপটে বোর্ডের এই ভাবনা।
মঙ্গলবারও জালিয়াতির সাক্ষী থেকেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স। হাওড়ার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে এক পড়ুয়া। বোর্ড সূত্রে খবর, বিহারের বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থীর হয়ে হলে ঢুকেছিল অন্য একজন। দু’জনকেই তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
দেরীতে আসার কারণে এদিন প্রায় ৭০ জনকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি বোর্ড। মেডিক্যালহীন জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পরীক্ষায় বসেন প্রায় এক লক্ষ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। বোর্ড সূত্রে খবর, মেডিক্যাল পরীক্ষার্থীদের প্রায় ১০ শতাংশ এদিন ফার্মাসি পরীক্ষায় বসেন। বোর্ড জানিয়েছে, ৩ জুনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের।