কলকাতা: পুলিশ পিটিয়ে গ্রেফতার হওয়া এক হিজড়ের জন্য পৃথক সেল তৈরি করল প্রেসিডেন্সি জেল। হিজড়েদের লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে সমস্যা থাকায় তাকে পুরুষ বা মহিলা- কোনও লকআপেই পাঠানো যায়নি। ফলে এই পৃথক সেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় জেল কর্তৃপক্ষ।


ধৃতর নাম সন্দীপ দুবে। জানা গেছে, শনিবার রাতে ওয়াটগঞ্জে একটি গাড়ি সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজারকে মারধর করেন সন্দীপের ভাই দীপক। খবর পেয়ে পুলিশ এলে সন্দীপ ও তাঁর বাবা নন্দ দুবে পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলেন। সেই সুযোগে দীপক চম্পট দেন এলাকা থেকে। পুলিশকে মারধরের দায়ে রবিবার সন্দীপ ও নন্দকে গ্রেফতার করা হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হওয়ায় তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। এরপরেই সমস্যায় পড়ে পুলিশ। কারণ, হিজড়েদের পুরুষ না মহিলা কোন জেলে রাখা হবে তা নিয়ে কারা দফতরের কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই। হিজড়েরা কোনও মামলায় গ্রেফতার হলে ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখা হয়, তাঁদের শরীরে পুরুষ না মহিলা- কার বৈশিষ্ট্য বেশি। সেইমত তাঁদের পাঠানো হয় পুরুষ বা মহিলা জেলে।

কিন্তু লক আপের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের সব সময় আলাদা সেলে রাখার নিয়ম থাকলেও দেশের কোথাও এঁদের জন্য জেলে পৃথক ব্যবস্থা নেই। তাই তৃতীয় লিঙ্গের কেউ ধরা পড়লে তাঁকে থানার ভেতরেই কোথাও বসিয়ে রাখায় হয়, নয়তো কোনও ফাঁকা লক আপে রাখা হয়। সন্দীপের ক্ষেত্রেও তাই প্রেসিডেন্সি জেলে আলাদা সেল তৈরি হয়। তারপর সন্ধেয় তাঁকে পাঠানো হয় সেই সেলে।