কলকাতা: আদালতে রোজভ্যালিকাণ্ডে শুভ্রা কুন্ডুর জামিনের আবেদন খারিজ। ২ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে পাঠানো হল শুভ্রা কুন্ডু। ট্রানজিট রিমান্ডে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাবে সিবিআই। কাল সকালের মধ্যেই শুভ্রাকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাবে সিবিআই। এরইমধ্যে শুভ্রা কুণ্ডুর ফ্ল্যাট সিল করা হল।পঞ্চসায়রে শুভ্রা কুণ্ডুর ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই।
এই মামলায় গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে গ্রেফতারের পর দফায় দফায় সিবিআই জেরা করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৪ জানুয়ারি জেলে গিয়ে জেরা করা হয় গৌতম কুণ্ডুকে। জেরায় রোজভ্যালি কর্ণধার দাবি করেন, তাঁর অবর্তমানে টাকার হিসেব রাখতেন স্ত্রী শুভ্রা। গৌতম কুণ্ডুর থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে গতকাল শুভ্রা কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুভ্রা কুণ্ডুকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আগামীকাল পেশ করা হবে ভুবনেশ্বরের আদালতে। শুভ্রা কুণ্ডুকে আরও জেরার জন্য হেফাজতে পেতে আদালতে আবেদন জানাবে সিবিআই। খবর সূত্রের।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে গরু, কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে চিটফান্ড মামলা। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অ্যালকেমিস্ট মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংহের গ্রেফতারির দু’দিন পর রোজভ্যালি মামলায় গ্রেফতার করা হয় গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে।


সিবিআই সূত্রের খবর, গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর বিরুদ্ধে রোজভ্যালির বহু কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার হদিশ নেই।সূত্রের দাবি, গোয়েন্দাদের অনুমান, শুভ্রা হয়তো বিদেশেও টাকা পাচার করে থাকতে পারেন।তদন্তাকারীদের অনুমান, একা শুভ্রার পক্ষে এত টাকা সরানো সম্ভব নয়।সেক্ষেত্রে এই মামলার প্রাক্তন তদন্তকারী ইডি অফিসার মনোজ কুমার এবং অন্যান্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রের এও দাবি, রোজভ্যালি নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব এড়াচ্ছিলেন শুভ্রা।
সদুত্তর দিচ্ছিলেন না। এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে শুভ্রা কুণ্ডুর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করা হয়েছে সিবিআই সূত্রে।
তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার শুভ্রা কুণ্ডুর সাউথ সিটির ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

রোজভ্যালি মামলায় ইডির পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হয় শুভ্রাকে। ২০২০-র ১৮ ফেব্রুয়ারি শুভ্রা কুণ্ডুকে তাঁর সাউথ সিটির ফ্ল্যাটে গিয়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের দাবি, শুভ্রা সদুত্তর দিচ্ছেন না অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন গোয়েন্দারা।
কিন্তু এরপরই শুভ্রা কলকাতা ছেড়ে মুম্বই চলে যান বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি। পরশু রাতে গৌতম-জায়া কলকাতায় ফেরার খবর কানে যেতেই তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই।