কলকাতা: একের পর এক ঘটনা। নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। এই পরিস্থিতিতে দলের ছাত্র সংগঠনকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে একাধিক পদক্ষেপ নিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বুধবার তৃণমূল ভবনে টিএমসিপির রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই বৈঠক থেকেই, শান্তিপুর ব্লক টিএমসিপি-র সভাপতি মনোজ সরকারকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। এই মনোজের বিরুদ্ধেই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে অধ্যাপককে হুমকির অভিযোগ উঠেছিল! অধ্যক্ষকে আঙুল উঁচিয়ে শাসানিও দিয়েছিলেন!
যদিও, অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা এখনও অধরা।
সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে এই জয়পুরিয়া কলেজেই পঠনপাঠন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এদিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে জয়পুরিয়া কলেজের ৩টি ইউনিট।
সতর্ক করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর কলকাতা ও নদিয়ার টিএমসিপি নেতৃত্বকে।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর কলেজেই এক অধ্যাপিকার কৈফিয়ত তলব ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে এদিন ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশে তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ, শিক্ষকদের বিষয়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। দলের সুনাম নষ্ট হয়, এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া চলবে না।
সূত্রের খবর, ১৪ সেপ্টেম্বরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা মধ্য, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার টিএমসিপি সভাপতিকে সরানো হবে। রদবদল হবে টিএমসিপি-র রাজ্য কমিটিতেও।
তবে, বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে না বললেও, নিয়ন্ত্রণ যে খর্ব হচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূল মহাসচিবের কথা থেকেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাইরের কেউ কলেজে ঢুকবে না, কলেজের ছেলেরাই কলেজ চালাবে। ওদের সাহায্য দরকার হলে, পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হবে। দলের শাখা সংগঠন তো টিএমসিপি। নিয়ন্ত্রণ তো করতেই হবে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ ধ্বংসাত্বক নয়।
কিন্তু, শিক্ষামহলে সেই অবধারিত প্রশ্ন হল, বাইরে থেকে যদি ছাত্র সংগঠনকে, রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে ক্যাম্পাসের রাজনীতিমুক্তি আদৌ সম্ভব?