কলকাতা: বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া পূর্ব ভারতের পাঁচ রাজ্যকে রোহিঙ্গাদের ঢোকা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে অধিক সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন রাজনাথ সিংহ।


বৃহস্পতিবার, নবান্নে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যোগ দেন কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানেই তিনি জানান, শীঘ্রই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইউনিফায়েড কম্যান্ডের ধাঁচে একটি বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড তৈরি করা হবে।


এই প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ৪,০৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র করার লক্ষ্যেই তৈরি করা হচ্ছে এই গ্রিড। এতে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা-বলয় থাকবে। রাজনাথ যোগ করেন, এই গ্রিডে থাকবে ফিজিক্যাল ব্যারিয়ার (কাঁটাতার), নন-ফিজিক্যাল ব্যারিয়ার (লেজার), নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য, রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থা।


রাজনাথ বলেন, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকা ঠেকাতে  রাজ্য সরকারগুলিকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, কেন্দ্রের অন্যতম লক্ষ্য হল মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে আসা রোখা।


সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ রুখতে কড়া নজর রাখার ওপর গুরুত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, বহুক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে চরমপন্থা গোষ্ঠীর যোগাযোগ থাকে। তারা এদেশে এসে রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালায়। তিনি বলেন, মৌলবাদ ও জঙ্গিদের আটকাতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির সক্রিয় সহযোগিতা এবং যৌথ অভিযানই একমাত্র রাস্তা।


রাজনাথ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল। উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকজন জঙ্গি বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। সেই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড গঠনের জোর সওয়াল করেন রাজনাথ। বলেন, কী করতে হবে, জানে রাজ্য সরকার।


একইসঙ্গে রাজনাথ মনে করেন, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ, অস্ত্রপাচার বন্ধ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ যেমন নিতে হবে, তেমনই সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়ন জরুরি।