সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: জন্মদিনে জাতীর জনককে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম সৌধস্থলের সংস্কার।সেই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীন্দ্রনাথ সেনের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন।

উদ্যোক্তা গড়িয়া সতীন্দ্র স্মৃতি সংসদ।শুক্রবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীন্দ্রনাথ সেনের অনুগামীদের হাত ধরে গড়িয়ার এই এলাকায় এসে পৌঁছয় মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম।
বিপ্লবী সতীন্দ্রনাথ সেন ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী। ১৮৯৪ সালে বাংলাদেশের ফরিদপুরে তাঁর জন্ম। গান্ধীবাদী আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হয়ে, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। বহুবার ইংরেজরা তাঁকে বন্দি করেছে। দেশের মুক্তির জন্য সুদীর্ঘ ১৯০ দিন অনশন করেন সতীন সেন। ইতিহাসের পাতা বলে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্বয়ং ওঁর অনশন ভাঙেন।

১৯৪৮ সালে গান্ধীজির মৃত্যুর পর, তাঁর চিতাভস্ম পৌঁছে দেওয়া হয় অনুগামী সতীন্দ্রনাথ সেনের কাছে। তখন বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান সরকার ফের গ্রেফতার করে বিপ্লবী সতীন্দ্রনাথ সেনকে। ১৯৫৫ সালে ঢাকায় বন্দি অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সেই সময় সতীন সেনের অনুগামীদের একাংশ ধীরে ধীরে স্বাধীন ভারতে চলে আসতে শুরু করেন। তাঁরই অনুগামী বিনোদবিহারী কাঞ্জিলাল, দীনেশ সেন প্রমুখের হাত ধরে গড়িয়ার এই অঞ্চলে এসে পৌঁছয় গান্ধীজির চিতাভস্ম।

বিপ্লবীর নামেই কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ড, এই এলাকার নাম, সতীন্দ্র পল্লী। তাঁর নামে গড়ে ওঠে সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান সতীন্দ্র স্মৃতি সংসদ। তাদেরই উদ্যোগে, শুক্রবার গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে শহিদ বেদি ও চিতাভস্ম সৌধস্থলের সংস্কার করা হয়।